বিশ্বের শক্তিশালী দেশের তালিকা 2025

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ এবার ৪৭ নম্বরে রয়েছে। ১৯৫টি দেশের মধ্যে এই অবস্থান নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য একটা ইতিবাচক দিক।

তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘সেরা দেশগুলোর’ তালিকায় বাংলাদেশকে ‘ক্ষমতা’ ক্যাটাগরিতে এই র‌্যাঙ্কিংয়ে রাখা হয়েছে।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত এই তালিকাটি তৈরি করতে তারা ৮৯টি দেশকে বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্লেষণ করেছে। মোট ৭৩টি বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় এনে দেশগুলোকে ১০টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। যার মধ্যে ছিল ব্যবসার সুযোগ, উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, শিক্ষা, এবং অবশ্যই, সামরিক ও বৈদেশিক নীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

google Newsgoogle News

এই গবেষণার জন্য তারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ১৭ হাজার মানুষের মতামত নিয়েছিল। এক মাস ধরে চলার পর শেষ হয় ২০২৪ সালের ২৩ মে।

এই তালিকার শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই আছে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি। দক্ষিণ কোরিয়া ৬ষ্ঠ, তার পরে আছে ফ্রান্স, জাপান, সৌদি আরব। ইসরায়েল রয়েছে ১০ম স্থানে আর ভারত রয়েছে ১২তম।

ইউএস নিউজ বলছে, “বিশ্বের যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী, তারা সাধারণত আন্তর্জাতিক সংবাদে নিয়মিত থাকে, নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং বিশ্ব অর্থনীতির ধারা গঠনে ভূমিকা রাখে। এদের সামরিক বাজেট ও বৈদেশিক নীতিগুলো খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। এই দেশগুলো যখন কিছু বলে বা প্রতিশ্রুতি দেয়, তখন বিশ্বের অনেকে তা বিশ্বাস করে বা অন্তত ভয় পায় যে তারা সেটা বাস্তবেই করে ফেলবে। তাদের প্রভাব স্পষ্টভাবে টের পাওয়া যায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে।”

শিরোপার দৌড়ে বার্সার বড় সুযোগ নষ্ট!

বাংলাদেশের পারফরম্যান্স কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বেশ ভালো। উদাহরণ হিসেবে

  • দেশের নেতৃত্বগুণে স্কোর ৫.৩
  • আর্থিক প্রভাবের দিক থেকে ৫.২
  • রপ্তানি খাতে শক্তিমত্তার স্কোর ২২.২
  • রাজনৈতিক প্রভাব ৫.২
  • আন্তর্জাতিক মিত্রতার দিক থেকে ৩.৯ এবং
  • সামরিক শক্তির স্কোর ৭.০।

তবে সামগ্রিকভাবে বিশ্বের সেরা দেশগুলোর র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৭১তম। ব্যবসার জন্য খোলা পরিবেশের বিচারে দেশটি রয়েছে ২৯তম স্থানে, আর উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে র‍্যাঙ্কিং ৬৬।

বাংলাদেশ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। সুন্দরবন, ম্যানগ্রোভ বন ও বিশাল বেঙ্গল ডেল্টার জন্য পরিচিত। এখানে বর্তমানে প্রায় ১৭ কোটি ৫৭ লাখ মানুষ বসবাস করে। জনসংখ্যার দিক থেকে এটিকে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম দেশ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। দেশের অর্থনীতি মূলত রপ্তানিনির্ভর, আর এর বড় একটা অংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে।

গড় আয়ুষ্কাল এখন ৭৩.৪ বছর। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় সুখের দিক থেকে বাংলাদেশ কিছুটা পিছিয়ে আছে। সেই তালিকায় আমাদের অবস্থান ১১৫তম। এখনো বিশুদ্ধ পানি ও উন্নত স্যানিটেশনের সুবিধা সব মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। প্রায় ১৩.১ শতাংশ মানুষ বিশুদ্ধ পানির জন্য সংগ্রাম করছে, ৩৯.৪ শতাংশ মানুষ ভালো স্যানিটেশনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে ৭২.৮ শতাংশ সাক্ষর। শিক্ষা খাতে দেশের মোট জিডিপির মাত্র ২.৫ শতাংশ ব্যয় করা হয়।

৫০টি শক্তিশালী দেশের তালিকা ২০২৪ সাল অনুযায়ী

যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, ইতালি, ইরান, কানাডা, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ইউক্রেন, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, সুইডেন, কাতার, নরওয়ে, সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ডস, মিসর, পাকিস্তান, পোল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, বেলজিয়াম, মেক্সিকো, ডেনমার্ক, গ্রিস, আর্জেন্টিনা, চেক প্রজাতন্ত্র, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ আফ্রিকা, জর্ডান, থাইল্যান্ড, কলম্বিয়া, কুয়েত, নাইজেরিয়া, পর্তুগাল, রোমানিয়া, আলজেরিয়া, হাঙ্গেরি, বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড।

টেলিটক রিচার্জ অফার: ১০% মূল্য সমন্বয়

Scroll to Top